OrdinaryITPostAd

খাস জমি চেনার উপায় | কিভাবে চিনবেন কোন জমি খাস | Khas land

আমরা সাধারণ খাস জমি বলতে সরকারি জমিকে বুঝি। জনসাধারণের ব্যক্তিমালিকানা জমি ছাড়া সকল জমি খাস জমি বলা হয়। আজ আমরা আলোচনা করব, খাস জমি কোন গুলি ও চেনার উপায়গুলো কি কি।

খাস জমি চেনার উপায়

খাস জমি চেনার উপায় | কিভাবে চিনবেন কোন জমি খাস | Khas land

আমরা আজকের এই পোস্টে জেনে নিব খাস জমি কি? খুব সহজে খাস জমি চেনার উপায় সমূহ কি কি? সরকারি জমি, আমরা কি কাজে ব্যবহার করতে পারব।

আজ আমরা এই সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য আলোচনা করব। যে জমি গুলো সরকারি মালিকানাধীন জনগণের ভোগদখলের অনুমতি নেই এগুলোকে বলা খাস জমি।

খাস জমির পরিমান আমাদের দেশে  অনেক বেশি। বিভিন্ন সরকারি কাজে এসব জমি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে আমরা আলোচনা করেছি, কিভাবে আমরা খাস জমি চিনতে পারব।

আরো পড়ুনঃ

১। যে ১০টি কারণে আপনার ব্যবসার জন্য বীমা অপরিসীম।

২। গণিতের সকল সূত্রাবলী এখানে পাবেন।

আজকের আর্টিকেল আমরা যা যা জানতে পারবঃ

১। খাস জমি কি?
২।খাস জমি চেনার উপায়
৩।বাংলাদেশে খাস জমির পরিমান
৪। খাস জমি সম্পর্কে পাঠকের প্রশ্নোত্তর

১। খাস জমি কি?

বিশ্বের যেকোনো দেশের সরকারী মালিকানাধীন জমি গুলো হচ্ছে খাস জমি। সরকারী নিয়ন্ত্রণাধীন খাসজমি গুলো কৃষি, উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ প্রকল্প ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণ জনগণ বিনা অনুমতিতে এই খাস জমি ব্যবহার করতে পারে না।

এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে এইসব জমি কিভাবে জনগণ ভোগ করতে পারে? যেহেতু জমি গুলো সরকারের, তাই সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতি অনুযায়ী জনসাধারণ কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারবে তা উল্লেখ থাকে।

যেসব জমি খাস বলে উল্লেখ রয়েছে এসব খাস জমি জনগণ ব্যবহার করতে পারলেও কারো নিকট ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন না।

ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমির জন্য যদি ৩ বছরের বেশি সময় ধরে জমির মালিক খাজনা প্রদান না করে। তাহলে উক্ত জমিটি খাস বলে বিবেচিত হবে।

২। খাস জমি চেনার উপায়

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কিভাবে খাস জমি চিনব? সবাই জমিজমা বিষয়ক ভাল বুঝেনা বিধায় মনে করে থাকে অনেক কিছু।

জমির দাগ নম্বর ও খতিয়ান যাচাই করলেই বুঝতে পারবেন খাস জমি আছে কিনা। এটা জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিকটস্থ স্থানীয় ভূমি অফিসে যেতে হবে।

যদি জমির মালিকানা না থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি খাস জমি। এসব খাস জমির কোন ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকলে এটির মালিক সরকার।

অনেক মানুষই খাস জমি ও ব্যবহার যোগ্য জমি চিনতে ভুল করে। ব্যবহার যোগ্য জমি ও খাস জমি

নেকেই সাধারণ ব্যবহারযোগ্য জমি ও খাস জমি চিনতে ভুল করেন। খাস জমি চেনায় বিভিন্ন উপায় আছে।

চলুন জেনে নেয়া যাক খাস জমি চেনার উপায় সমূহ:

১. স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে (1. From the local land office)

প্রত্যেকটি এলাকায় বা উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় সরকারি কার্যালয় আছে সেখানে আপনার স্থানীয় এলাকায় খাস জমি আছে কিনা তা জেনে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনার নিজস্ব স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অথবা পৌরসভা অফিসে গিয়ে খাস জমি সম্পর্কে তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

২. সরকারি নোটিশ বোর্ড(Government Notice Board)

অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলে খেয়াল করলেই দেখা যায় জমির উপর বড় করে লেখা সাইনবোর্ড। এই সাইনবোর্ডে যদি লেখা থাকে এটি সরকারি মালিকানাধীন, তাহলে বুঝে নিবেন এটা হচ্ছে খাস জমি।

৩। খাস জমির ব্যবহার ও উদ্দেশ্য(Use and purpose of khas land)

খাস জমির বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে, তাই এটির ব্যবহার বা উক্ত কাজের উদ্দেশ্য দেখে বুঝে নিতে হবে এগুলো সরকারি মালিকানাধীন কিনা?

আমাদের দেশে খাস জমি সমূহ সাধারণত সমাজকল্যাণ মূলক প্রকল্প, কৃষি, উন্নয়ন মূলক কাজ, হাসপাতাল, রাস্তা বা স্কুল প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই জমি গুলো জনস্বার্থে জনকল্যাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৪. ব্যক্তিগত মালিকানা অনুপস্থিত(4. Private ownership is absent)

আমাদের দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেক সম্পদশালী হিন্দু ভারতে পালিয়ে যায়। তাদের রেখে যাওয়া জমি গুলো দেখার জন্য কোন অংশীদার না থাকলে এগুলো সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।

তাই বলা যেতে পারে কোন জমির ব্যক্তিগত মালিকানা না থাকলে এটি খাস জমি হিসেবে বিবেচিত হবে।

৫. ভূমি জরিপ ও রেকর্ড(5. Land Surveys and Records)

ইতিমধ্যে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে ভূমি জরিপ বা রেকর্ড সম্পন্ন হয়ে গেছে। তাই আপনি খাস জমি চেনার জন্য সরাসরি স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন। এই স্থানীয় ভূমি অফিসে খাস জমি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবেন।

বিভিন্ন জমির রেকর্ড, মালিকানা, উপাধি হইতে তথ্য ভূমি অফিসে সংরক্ষণ করা থাকে। তাই ভূমি অফিসে থেকে জমির সকল ধরনের সঠিক তথ্য জেনে নিশ্চিত হতে পারবেন যে জমিটি খাস জমি কিনা।

৬. সরকারি প্রতিষ্ঠান( Government institutions)

যেসব জমিতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন  পাবলিক অবকাঠামো, সরকারি অফিস, প্রশাসনিক ভবন থাকলে বুঝতে হবে সেগুলো হলো খাস জমি।

বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা ব্যবহার করা হবে এমন সরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি গুলো খাস জমি বলে করে।

বাংলাদেশে খাস জমির পরিমাণঃ

অনেকেই জানেনা এদেশের খাস জমির পরিমান কত এটা অনেকেরই অজানা। বাংলাদেশে খাস জমি ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমনঃ কৃষি, অকৃষি এবং জলাশয় বা পানি।

আমাদের দেশের মোট খাস জমির পরিমান আনুমানিক  ১৭৩.৭৩ একর বা ৩.৩ মিলিয়ন একর। এর ভিতর কৃষি জমির পরিমাণ ০.৮ মিলিয়ন, অকৃষি জমির পরিমাণ ১.৭ মিলিয়ন এবং পানি বা জলাশয়ের পরিমাণ প্রায় ০.৮ মিলিয়ন খাস জমি আছে।

এক নজরে পাঠকের কয়েকটি প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন১ঃ বাংলাদেশে খাস জমি কয় ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে খাস জমি সমূহকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন২ঃ খাস জমি কি বিক্রি করা যায়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে খাস জমি বিক্রি করা যায় না। সরকারি অনুমতি ব্যতিত খাস জমি বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

প্রশ্ন৩ঃ কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হিসেবে বিবেচিত হয়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে কোন জমির মালিক একটানা ৩ বছর ধরে খাজনা না দিলে সেটি বাজেয়াপ্রাপ্ত বা খাস জমি হিসেবে গণ্য হয়।

প্রশ্ন৪ঃ বাংলাদেশে কত বছর পরপর ভূমি জরিপ করা হয়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে ৩০ বছর পর পর নতুন জরিপ করা হয়।

প্রশ্ন৫ঃ সরকারি খাস জমি কি জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে?

উত্তরঃ সরকার নিয়মানুযায়ী জনসাধারণ খাস জমি ব্যবহার করতে পারে।

আমরা 10 Ana Blog এর এই আর্টিকেলে জানতে পারলাম খাস জমি কি ও খাস জমি চেনার উপায় গুলো। এই আর্টিকেল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে দয়া করে কমেন্ট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪